কামাল শিশির,রামু
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন বিকাশের দোকান থেকে বিশেষ কৌশলে প্রতারণা করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল সাইদুল আকরাম মাসুম (২৬) নামের এক প্রতারক।
সে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউনুছ খালী পাড়ার মৌলভী ছৈয়দুল হকে ছেলে বলে জানা গেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে তাকে ডিসি রোডের ইউনুছ স্টোর থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ধৃত প্রতারক মাসুম দীর্ঘদিন ধরে এক দোকান থেকে একাধিক বার এজিলোড করার অভিনয়ে দোকানদের বিকাশ একাউন্টের গোপন নম্বর জেনে নিত। পরে তার পরিচিত কয়েকটি বিকাশ একাউন্টে কৌশলে টাকা পাঠিয়ে দিত৷
অনুরূপ ভাবে ঘটনার দিনও ডিসি রোডের ইউনুছ স্টোরে এসে দুইটি নম্বরে ( ০১৮৯০-৭৪৪৮৫২, ০১৮৩৯-৪১৬৬০০)
১ হাজার টাকা করে ২ হাজার টাকা প্রেরণ করে। দোকান কর্মচারীর সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে নিজের দায় স্বীকার করে।
পরক্ষণেই বাজারের আরো প্রতারিত হওয়া বিকাশের দোকানদার এসে প্রতারক মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই থাকে। একই দিন পুরাতন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর সামনের ইত্যাদি স্টোর থেকে একই পন্থায় ০১৮২০৫৩৭৮১৮ নং এ এক হাজার টাকা, রূপম মোবাইল সার্ভিসিং থেকে এক হাজার টাকা, হাজী নুর কুলিং কর্নার থেকে ০১৮৭৪-৮৬৮১০১,০১৭২০২৭৭৯৬৩, ০১৮৬৭-৫৪৫২৪৮ নং পৃথকভাবে ৩ হাজার টাকা প্রেরণ করে।
ভুক্তভোগী দোকানদারেরা ঘটনাস্থলে আসলে প্রতারক মাসুম তাদের দোকান থেকেও প্রতারণা মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার দায় স্বীকার করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক রাজনীতিবীদ শওকত আলমের নজরে আসলে তিনি বাজার পরিচালনা কমিটিকে অবগত করেন।
পরে বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, সহ সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক, সদস্য রফিক উদ্দীন, জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করেন।
কালারমার ছড়ার চেয়ারম্যান ওসমান বিন তারেকের বরাত দিয়ে সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো জানান, ধৃত প্রতারক সাইদুল আকরাম মাসুম চিহ্নিত একজন প্রতারক। সে কয়েকদিন আগেও কালারমার ছড়ায় প্রতারণা করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল।
ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগীদের মধ্যে থেকে যে কেউ অভিযোগ কিংবা মামলা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।