অপরাধ বর্জন করতে নিজেরা সচেতন হউন পুলিশ অাপনাদের পাশে থাকবে।
মোহাম্মদ আবুতাহের মহেশখালী
মহেশখালী থানা পুলিশের আয়োজনে ১৪ ডিসেম্বর সোমবার কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কমিউনিটি সচেতনতা মূলক সভায়,প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে কক্সবাজার জেলা পুলিশের-(মহেশখালী) এএসপি (সার্কেল) জাহেদুল ইসলাম বলেছেনঃ-
সমাজের নিত্য নৈমিত্তিক অপরাধ বর্জনে নিজেদের’কে সচেতন হতে হবে।
মহেশখালী থানা পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অাপনাদের পাশে থাকবে।
নিজেরা কখনো অাইন হাতে তুলে নিবেন না। সমাজে অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কেহ আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না।
পুলিশকে সঠিক তথ্যদিন। অাইন অাপনাদের পাশে থাকবে।
আপনারা পুলিশকে ভালোবাসা দিন। তারপর দেখুন আমরা তার প্রতিদান কিভাবে দিই।
আপনারা পুলিশকে ২৫ ভাগ ভালবাসা দিন,পুলিশ বিনিময়ে মহেশখালীবাসী’কে শতভাগ ফেরত দিবো আমরা।
পুলিশ জনতা,জনতাই পুলিশ। সাধারণ মানুষ পুলিশ থেকে দূরে থাকলে পুলিশ মানুষের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেনা। সাধারণ মানুষকে সর্বোচ্চ পুলিশী সেবা দিতে মহেশখালী থানা পুলিশ বদ্ধ পরিকর। ঠিক তেমনি দুষ্টুদের দমনে পুলিশ তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করবে আর দালালদের থানা থেকে বয়কট করা হবে।
মহেশখালীর কালারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কমিউনিটি সচেতনতায় মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এএসপি (সার্কেল) জাহেদুল ইসলাম এ কথা বলেন।
কমিউনিটি সচেতনতায় মূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ।
সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য কালে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আবদুল হাই বলেনঃ-
আমি এরকম একটি থানার(ওসি)হতে চাই,যে থানার মানুষ রাতে দরজা খুলে নির্ভয়ে ঘুমাবে!
বর্তমানে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার পর্যন্ত সকলেই বদলী হয়ে সম্পূর্ণ নতুন পুলিশ যোগদান করেছেন।
আমি সেবার মন-মানসিকতা নিয়ে মহেশখালীতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে যাবো।
সভাপতির বক্তব্য কালে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন-দুরত্বের কারণে মহেশখালীর উত্তর প্রান্তে আরো একটি থানার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।
থানার কার্যক্রম স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ ইব্রাহীম
জমি দান করেছেন।
অপরদিকে কালারমারছড়ার সকল মানুষ শান্তি চায়। শান্তি পেতে হলে প্রতিটি পাড়ায়,মহল্লায়,সমাজে, প্রতিটি ঘরে অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন।
পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখুন। তবেই কালারমারছড়া শান্ত হবে নিশ্চিত।
কমিউনিটি সচেতনতায় মূলক সভায় আরো বক্তব্য রাখেনঃ-মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাষ্টার মুহাম্মদ রুহুল আমিন,বশির আহমদ, জেলা বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেএমসেন বড়ুয়া, কালারমারছড়া বাজার কমিটির সভাপতি হাজ্বী রশিদ আহমদ,কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বদরুল আলম আনসারী, আবুল কাশেম মেম্বার, সৈকত কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের সুমন প্রিয় ভিক্ষু, নোনাছড়ি বাজার কমিটির সভাপতি মনজুরুল আলম, শরীফ মেম্বার।
এসময় অনুষ্ঠানে কালারমারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় হাজারো অধীক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।