1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. zahangiralam353@gmail.com : Channel Inani :
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

মহেশখালীর আমান উল্লাহ হত্যাকান্ডের ৭ মাস পার হলেও কোন কুল কিনারা নেই এমন অভিযোগ পিতা মাতার!

  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

 

সরেজমিন প্রতিবেদন…

গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী

মহেশখালীর আমান উল্লাহ হত্যাকান্ডের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার কোন কুল কিনারা নেই এমন অভিযোগ শোকে মুহ্যমান বৃদ্ধ পিতা মাতা পিতা মাতার,পুত্র হত্যার সুষ্ঠ বিচারের জন্যে মামলার বাদী পরিবর্তন চাই তাঁরা।

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুরে
পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে শোকে কাতর বৃদ্ধ পিতা মাতা ৷পুত্রের শোকে কান্না করতে করতে দুচোখের আলো অনেকটা ঝাপসা হয়ে গেছে মায়ের ৷ বৃদ্ধ পিতা হারিয়ে ফেলছে কথা বলার শক্তি ৷ হঠাত ঝড়ের বেগে আসা একটি ঘটনায় তছনছ হয়ে গেলো সাজানো গোছানো একটি পরিবার ৷

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জাহিদা ঘোনা এলাকার ছিদ্দিক মিয়ার সন্তান আমান উল্লাহ (৩০) কক্সবাজারের পিএমখালী ইউনিয়নের তোতকখালী সিকদার পাড়া এলাকার মামুনুল করিমের মালিকানাধীন কক্সবাজার হ্যাচারি এন্ড ফিশারীজ মৎস প্রজেক্টে ইজারাদার নুরুল হুদা কাজল ও সালাহ উদ্দিনের অধিনে প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলো ৷
স্থানীয় কয়েক চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রায় সময়ে প্রজেক্টে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করায় আমান উল্লাহর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয় ৷
বিরোধের জেরে ২০২০সালের ১৬ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৩টার সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিশাত নুর আকাশ, মোঃ আপেল, আলা উদ্দিন, রমজান আলী মিলে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রজেক্টে প্রবেশ করে আমান উল্লাহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে নাড়ি-ভুড়ি বের করে ফেলে ৷
তাদের হামলার আঘাতে আমান উল্লাহ শোর চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ে ৷
মুমুর্ষ অবস্থায় আমান উল্লাহকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ৷
একই মাসের ১৮তারিখ তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় চারজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ৷

আমান উল্লাহ হত্যাকান্ডের প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হলেও
এখনো পর্যন্ত মামলার কোন অগ্রগতি না দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয় তার মা বাবার মনে ৷
তারা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে আমান উল্লাহর স্ত্রী মামলার বাদী হওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে আতাঁত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুপ হয়ে গেছে ৷ ফলে মামলাটির অগ্রগতি ও সুষ্ঠ বিচারে আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি ৷ মামলার সুষ্ঠ বিচারের জন্যে মামলার বাদী পরিবর্তন করে আমরা মা বাবা বাদী হতে চাই ৷

মামলাটির সর্বশেষ অবস্থা জানতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ বেলাল উদ্দিনের মুঠোফোনে (০১৭১৮,০৭৯৪২৭) কথা হলে তিনি বলেন, আমি তো বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত আছি ৷ এবিষয়ে বেশী কিছু জানিনা বলে তিনি ফোন কেটে দেন ৷

নিহত আমান উল্লাহর স্ত্রী মামলার বাদী রোকসানা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করাতে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি ৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: Nagorik It.Com