ছবি চ্যানেল ইনানী
জাহাঙ্গীর আলম ইনানী
কক্সবাজারের উখিয়া সোনার পাড়ায়
পরিত্যাক্ত এক স্কুল ভবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভয়াবহ ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ছবিতে যে ভবনটি দেখতে পাচ্ছেন এটা উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়’র পরিত্যক্ত হোস্টেল।
সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে নির্মিত হলে ও ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিপদের সময় মানুষ অার সেখানে অাশ্রয় নেয়না।পরে স্কুলের ছাত্রাবাস হিসেবে ও ভবন টি ব্যবহার করা হয়।কিন্তু এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পরিত্যক্ত সাইক্লোন সেন্টারটি। যেকোনো সময় ধ্বসে পড়ার অাশঙ্কা রয়েছে।ভবনটির উত্তর পাশে সোনার পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ অার পাশেই রয়েছে সোনার পাড়া দাখিল মাদ্ররাসা।
যেখানে বিদ্যালয় অার মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করে।এবং ভবনটির সাথে ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে একটি মসজিদ ও।সব মিলিয়ে চরম অাতঙ্কে দিন কাটে ছাত্র-ছাত্রী এবং মসজিদের মুসল্লিদের, এলাকার মানুষও। এই ভবনের নিচ দিয়ে চলাফেরা করে।সব চেয়ে অাতঙ্কের বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের জন্য।কারণ দিনের বেশির ভাগ সময় শিক্ষার্থীদের সেখানে কাটাতে হয়।
ভবনটির দরজা জানালা সব ভেঙ্গে গেছে,পলেস্তরা খঁসে পড়েছে।দেওয়ালে ফাটল ধরে ভয় পাওয়ার মতো অবস্হা।
দেখলেই মনে হবে ভবনটি এখনি ধ্বসে পড়বে।তবে অারেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় সেখানে কেউ যাতায়াত করেনা।ফলে মাকদসেবীদের অাড্ডাখানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।দিনে-রাতে সেখানে জুয়ার অাসর বসে।মাদকসেবীরা নিরাপদ স্হান হিসেবে এই ভবনটি বেঁচে নেয়।
এই অবস্হায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যাই
পুরাতন ভবনটি ফাটল সৃষ্টি হয়ে ভবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ ছিড়ে পড়েছে এ ছাড়া পুরো ভবনের অনেকাংশ আস্তর ঝরে গিয়ে ইট লোহা বের হয়ে আছে। জানা যাই অনেক আগেই নষ্ট হয়ে পড়েছেন উক্ত ভবনের দরজা-জানালা। ভয়াবহ ফাটলে ঝরাজীর্ণ হয়ে মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ভবনটি বহু বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবিষ্যতে ভবন ধ্বসের মতো মারাত্মক ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
এনিয়ে স্থানীয় জন্ম প্রতিনিধি রফিক মেম্বার জানান এবিষয় নিয়ে একটা লিখত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল উপজেলা নিবাহী কমকর্তার কাছে। জানতে চাইলে জালিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজর আনা খুব জরুরী বলে মনেকরেন তিনি ।