গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীর অন্তর্গত মহেশখালী
পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায় এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ১টি বসতবাড়ি পুড়ে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র,
নগদ টাকা বিদেশি স্বর্ণলন্কার ও বিভিন্ন দামী জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বাড়ির মালিক সৌদি প্রবাসী মৌলভী আব্দুল গফুর জানান-প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে আগুনে পুড়ে আমার অনুমান ৮ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই গ্রাম বাসী ও পার্শবর্তী জামিয়া আরবিয়া ইসলামিয়া গোরকঘাটা(মাদ্রাসার) ছাত্র’রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছোটে যান মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক,এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়-২৮ ফেব্রুয়ারী (রবিবার)রাত ৮টার দিকে সৌদি প্রবাসী মৌলভী আব্দুল গফুর এর বসত বাড়িতে বৈদ্যুতিক সার্কিট সর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে ।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই বসত বাড়ির আসবাবপত্র,
নগদ টাকা,বিদেশি স্বর্ণলন্কার ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় ।
পরে মহেশখালী সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই পার্শবর্তী জামিয়া আরবিয়া ইসলামিয়া গোরকঘাটা (মাদ্রাসার) ছাত্র ও গ্রামবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় পত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ-মহেশখালী উপজেলা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অগ্নিকাণ্ডের খবর বলে ফোন করার আধা ঘন্টা পরে তাদের একটি ইউনিট অগ্নিকান্ড স্থানে উপস্থিত হয়।
অথচ অগ্নিকান্ডের স্থান থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাত্র ৫ মিনিটের পথ।
এসময় তাঁরা আরও বলেন- স্থানীয় এলাকা বাসী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা এগিয়ে না আসলে পুরো বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যেতো,ফায়ার সার্ভিসের এমন অলসতা খুবই দুঃখজনক।
সঠিক সময়ে এলাকা বাসী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা এগিয়ে না আসলে আরো বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ড হওয়ার সম্ভবনা ছিল।