গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী

মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ এ জমি দিয়ে কোন মালিক টাকা ছাড়া থাকবেনা,উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বেশী সুদৃষ্টি মহেশখালীতে।

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন-
কয়লা বিদ্যুৎ এ জমি দিয়ে কোন মালিক টাকা ছাড়া থাকবেনা।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

তাঁর উদাহরণ আজ মহেশখালীতে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান।

মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প,গভীর সমুদ্রবন্দর,এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে ।

মহেশখালীতে উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বেশী সুদৃষ্টি রয়েছে ।

এই অঞ্চলের লবণ চাষীরা যাতে লবণের ন্যায্য মূল্য পায় তার জন্য বিদেশ থেকে লবণ আমদানী সম্পূর্ণ
ভাবে বন্ধ করার জন্য আমি বাণিজ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবো ।

লবণ চাষীদের সমস্যা হয় এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো নেবেন না ।

০১ মার্চ সোমবার বিকালে মহেশখালী উপজেলা ও মাতারবাড়ীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বাংলাদেশ।প্রধানমন্ত্রী নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন, বিশেষ করে বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা,দুস্থ ভাতা ও বয়স্ক ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন।

দেশে আজ দলের প্রধান নারী,প্রধানমন্ত্রী নারী এবং স্পিকার নারী,এটাই প্রমাণিত শেখ হাসিনা নারীদের নিয়ে কাজ করছেন।

শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, যে কারনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ।

এসবই শেখ হাসিনার অবদান এ উন্নয়নের ঢেউ লেগেছে মাতারবাড়ীতে,উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যে সব জমি অধিকগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে অনেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তারা যাতে টাকা পায় সে ব্যবস্থা করা হবে ।

মাতারবাড়ী প্রকল্পে স্থানীয়দের চাকরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে ।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, বিএনপি নানাভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়
যন্ত্র করছে ।

উন্নয়নে বাঁধা দিচ্ছে,তারা চক্রান্তের করে বিদেশী এজেন্সি এবং মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়।

বিএনপির সেই মনোবাসনা কোনদিন পূরণ হবে না।

কারণ শেখ হাসিনার সরকার হলো জনগণের নির্বাচিত সরকার । স্বাধীনতার ঘোষক নিয়েও বিএনপি যে ইতিহাস বিকৃতির চর্চা করে আসছেন, তা পুনরায় করার কোন সুযোগ নেই।

কারণ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ,আর বাংলাদেশের ইতিহাসের রন্দ্রে রন্দ্রে এখন বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ।

দূর্ণীতির দায়ে বেগম জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারান্তনীণ ছিলেন ।

সেখান থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার প্রধান
মন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় ও মানবিকতায় তিনি আজ প্যারেলো মুক্তি (জামিন)নিয়ে বাসায় বসবাস করছেন।

দূর্ণীতির দায়ে খালেদা জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত এবং তার আর এক ছেলে বিদেশে পলাতক রয়েছেন,এই হলো বিএনপি’র ইতিহাস ।

খালেদা জিয়াও দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিল,বর্তমানে শেখ হাসিনাও দেশের প্রধানমন্ত্রী।

একজন প্রধানমন্ত্রী দূর্ণীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত আর একজন প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের উন্নয়নে জন্য কাজ করছেন,দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করে যাচ্ছে।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা,জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড.ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান,মহেশখালী-কুতুবদিয়া সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, কক্সবাজার সদর আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, চকরিয়া-পেকুয়া সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম , কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি,কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম,কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটন।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ারা পাশা চৌধুরী,মহেশখালী পৌর আলহাজ্ব মেয়র মকছুদ মিয়া, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শরীফ বাদশা,কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার রুহল আমিন ও মশরফা জান্নাত।

মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী রুহুল, মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ , কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ,হোয়ানকের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল , কুতুবজোমের ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন,ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান , ছোট মহেশখালীর ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ বিনআলী,
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারী প্রমূখ ।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে শতশত নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন ।