গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
মহেশখালীতে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া কে হত্যার উদ্দেশ্য গুলাগুলি,আহত ৩, ৬লাখ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
এসময় প্রায় পুড়ানো অবস্থায় ২টি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার ২৮মার্চ দিবাগত রাত ২টায় মহেশখালী পৌরসভা সিকদার পাড়া এলাকার জকরিয়ার পূত্র সালাহ উদ্দিনের আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়ছে বলে নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই। উদ্ধার করা ইয়াবার মূল্যে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার চাচত ভাই সালাহ উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল।
তার পেক্ষিতে দুর্বৃত্তরা গত রাতে মেয়র মকছুদ কে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি ছুড়ে।
এতে গুলিবিদ্ধ হন মেয়রে দেহরক্ষী নুর হোসেন(৪০), কাউছার(৩০) ও ভূবন(৩৫)। তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানা যায়।
এই রিপোর্ট লিখা সময় পর্যন্ত নুর হোসনের অবস্থা সংকটপূর্ণ বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার জের ধরে দুর্বৃত্তরা মেয়র মকছুদ মিয়া কে পাসানো জন্য সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা যায়।
পরে সেখান থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার করে মহেশখালী থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,২৯মার্চ দিবাগত রাত ২টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে পাশে গুলাগুলির খবর পেলে সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম,মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় মহেশখালী থানা পুলিশ।
পরে এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্দেহভাজন মাস্টার মাইন্ড সালাহ উদ্দিনের সন্ধান করতে থাকে পুলিশ। ঘটনার কিছুক্ষন পর সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজে আগুন লাগার খবর পেলে তার বাসায় যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় গ্যারেজে আগুল জলতেছে,সেটা দেখে ফায়র সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিভালে তল্লাশি চালালে ইয়াবার অস্তিত্ব পায়।
গাড়ীর পিছন থেকে অক্ষত অবস্থায় ৪লাখ ২ হাজার ইয়াবা ও আংশিক পুড়ানো অবস্থায় ২লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোট ৬লাখ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তবে কে বা কারা গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দিচে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি পুলিশ।
আজ সকালে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পিপিএম বার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় পূনারায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সম্ভাবনা বিধ্যমান।
ইয়াবা উদ্ধার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সালাউদ্দিন কে প্রধান আসামী করে অজ্ঞতা নাম ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃআব্দুল হাই জানান-
মহেশখালীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ইয়াবা চালান ৬
লক্ষ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার এটি।
ইয়াবার উৎস ও উক্ত ঘটনায় কারা জড়িত আছে,তদন্ত সাপেক্ষে ছড়িত দের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।