নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের পাহাড়তলীর ইউসুলোঘোনায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক করা হয়েছে বহু অপকর্মের হোতা চিহ্নিত মাদক কারবারি নুর মোহাম্মদকে। তাঁকে আটক করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। এ জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য স্থানীয়রা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নুর মোহাম্মদ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারি। তাঁর কারণে বিপদগামী হচ্ছে হচ্ছে এলাকার তরুণ প্রজন্ম। এলাকায় সে নানা অপকর্ম করে বেড়াত। সে ইতিপূর্বেই ইয়াবা ও অস্ত্র মামলা নিয়ে জেল খেটে এসেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। তাঁর কাছে পুরো এলাকাবাসী জিম্মি ছিল। সর্বশেষ গত ৭ জুন রাতে নুর মোহাম্মদ ও তার সহযোগি সাজ্জাদের বাড়িতে বেধে রেখে রোহিঙ্গা তৈয়বকে ধরে নিয়ে গিয়ে তার সহযোগিসহ ব্যাপক মারধর করেন। পরের দিন নুর মোহাম্মদ বাসায় নিয়ে গিয়ে চেয়ারের সাথে বেধে রাখে। তৈয়বের স্ত্রী সকালে তৈয়বকে ছাড়াতে গেলে স্বামীকে বেধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ইয়াবা কারবারী নুর মোহাম্মদ। এলাকাবাসী আরও জানান তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি পরের দিন জানাজানি হলে এলাকাবাসী নুর মোহাম্মদ থেকে জানতে চাইলে তা পাত্তাও দেয়নি। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নুর মোহাম্মদকে আটক করেন। ধর্ষিতা (রোহিঙ্গা) নারীকে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদকে আটক করায় পূর্ব পাহাড়তলী সমাজ কমিটি ও এলাকাবাসী মেয়র মুজিবুর রহমান এবং সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের প্রতি এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পূর্ব পাহাড়তলী সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুল আজিম সওদাগর বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাংসহ সব ধরণের অপরাধ নির্মূলে এলাকার সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করছি আমরা। এলাকার আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেকোন ধরণের সহযোগিতা করে যাবো আমরা।