গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনী পাড়া থেকে ঝাপুয়া বাজারের পশ্চিমে বর্তমান হালচাষের জমিনের উপর স্থাপিত হচ্ছে রেল লাইন।
এ রেল লাইনের জন্য চলছে সরকারী ভাবে জমি অধিগ্রহণের কাজ।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ,এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এলও অফিস কেন্দ্রীক একটি প্রভাবশালী দালাল সিন্ডিকেট সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে জমি মালিকদের সাথে ঘোপনে আতাত করে সম্প্রতি শতাধিক নতুন করে ঘর নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে পুরো উপজেলা চলছে তোলপাড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনি পাড়া বাজারের পশ্চিমে বয়ে গেছে আকাঁবাকা গ্রামীণ সড়ক উক্ত সড়কের শেষ প্রান্তে বুক চিরে হালচাষের জমিও বসত বাড়ীর উপর দিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে রেল লাইন।
উক্ত রেল লাইনের জায়গার জন্য সরকারী ভাবে জমি অধিগ্রহণের কাজও চলমান।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার এল ও অফিস মূখি স্থানীয় একটি দালাল সিন্ডিকেট সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে রাত ও দিনে ইতিমধ্যে শতাধিক নতুন করে ঘর ও নলকূপ স্থাপনের উৎসব চলছে।
ঘর নির্মাণকারী একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়-
অবকাঠামোর টাকাসহ ভূমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য তারা এ ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে বিভিন্ন কানাঘুষা।
মহেশখালী প্রশাসনের একাধিক সূত্রে জানা যায়,ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল হিসেবে যারা ঘর নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহেশখালীতে দায়িত্বরত রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক আবিদুর রহমান বলেন,নতুন করে ঘর নির্মাণ করছে বলে আমি অবগত নই,তবে বিষয়টি খবর নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আর নতুন করে ঘর নির্মাণ করে ক্ষতিপূরণের নামে সরকারী অর্থ অপচয় হতে দেওয়া যাবেনা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান বলেন-
রেল লাইন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে কেউ যদি নতুন করে ঘর নির্মাণ করে থাকে তা আইনত অপরাধ।
এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।