গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী কালামারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে মহেশখালী থানা পুলিশের ১টি চৌকষ টিম গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ২টি দেশিয় অস্ত্র ও ২ টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
গত ১৬ জুলাই(শুক্রবার) মধ্যে রাতে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই,ওসি (তদন্ত) আশেক ইকবালসহ পুলিশের ১টি চৌকষ টিম কালামারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা দরগাহঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে
মহেশখালী থানার মামলা নং- ১(৭)২১, এর হত্যা মামলার রিমান্ড প্রাপ্ত আসামী কবির হোসেন (৩২) এর বাড়ীর আঙ্গীনা হতে ২টি দেশী তৈরী অস্ত্র (এলজি) ও ০২(দুই) টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে,এই সময় পুলিশ এক জন কে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে ফিরে আসা একারামকে গত ৩০ জুন স্থানীয় জৈনিক আব্দু মোনাফের পূত্র কবিরের নেতৃত্বে হত্যা করে মাতারবাড়ীর কোহেলিয়া নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
পরের দিন সকালে কবিরকে একরাম হত্যাকারী হিসেবে সন্ধেহে স্থানী জনগণ গণধোলাই দিয়ে মহেশখালী থানা পুলিশের হাতে তুলেদে।
পুলিশ একরামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করলে সে অস্ত্র ও হত্যার কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে।
তার স্বীকারোক্তি মতে গত ১৬ জুলাই মধ্যে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির আঙ্গিনার মাটির নিচ থেকে ২টি এ এলজি ও ২টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।
কবিরের স্বীকারোক্তি মতে একরাম হত্যার সাথে জড়িত মাতারবাড়ীর রহুল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মোঃ আব্দুল হাই অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) জাহেদুল ইসলাম বলেন-
আলোচিত একারাম হত্যার প্রধান আসামী কবিরের রিমান্ডের পর তার স্বীকারোক্তি মতে রাত ভর অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ২টি দেশীয় অস্ত্র ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয় ও হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসবাদের জন্য ১জনকে আটক করা হয় এবং এই হত্যার সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।