খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি::
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বিনাধান- ২১ উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় খাগড়াছড়িতে জনপ্রিয় হচ্ছে এই জাতটি।খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলাতে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আউশ ধানের জাত বিনাধান-২১ সম্প্রসারণ ও প্রচারের লক্ষ্যে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নের সুতকর্ম্মা পাড়া এলাকায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বিনা উপকেন্দ্র খাগড়াছড়ির আয়োজনে ও পানছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতায় ‘চর, উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকার শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচির অর্থায়নে উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ’র মহা-পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচি পরিচালক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ সামিউল হক, পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ. বি. এম. শফিউল আলম প্রমুখ।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘বিনা-২১ ধান চাষকারী কৃষকরা খুবই খুশি। এ এলাকার জমি আগে অনাবাদী থাকতো। বিনা ধান-২১, ১০০ দিন জীবনকাল সম্পন্ন এ ধান চাষাবাদ করে কৃষক আরো একটি ফসল ঘরে তুলতে পারছে এবং ধান স্বল্প সেচে চাষাবাদ করা যায়। অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা এবং এক বছরে তিনটি ফসল উৎপাদন করছে। পানছড়িতে চাষাবাদের জমি লবণাক্ত হওয়ায় বিনা উদ্ভাবিত ধানের জাত ভাল হয় এবং ফলন বেশি হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক বিনা ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।’
অনুষ্ঠানের পরে অতিথিবৃন্দ এলাকার কৃষকদের নিয়ে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আউশ ধানের জাত বিনাধান-২১ সম্প্রসারণ ও প্রচারের লক্ষ্যে ফসল কর্তন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্রে খাগড়াছড়ি এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অংসিংহ্লা মারমা।