হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থগিত ৫ নং ওয়ার্ডের নলবনিয়া কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণে নৌকার ভরাডুবিকে কেন্দ্র করে উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম মাবু’র আবেগগণ স্ট্যাটার্স।
নিন্মে হুবহু তুলে ধরা হলো :-
২০১৯ সাল। উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে আমার বিরোদ্ধে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদকে নির্বাচন করার জন্য সেদিন কারা টাকা দিয়েছিল? নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে আমি দ্বিতীয় স্থানে ছিলাম। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামানত হারিয়েছিলেন। সেদিনের নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির আমি দলীয় প্রার্থী হিসাবে আমাকে কোন ধরনের সহযোগিতা করা উচিত ছিল কিনা? এর পর বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোদ্ধে কার কি ভুমিকা ছিল তখনকার সব আমল নামার হিসাব অর্থ্যাৎ “লাল কিতাব” আমার কাছে সংরক্ষিত আছে প্রয়োজন হলে প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। কারন ইতিমধ্যে উখিয়া-টেকনাফে অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমি প্রার্থী হিসাবে সেদিন হলদিয়ার নলবনিয়া কেন্দ্রে সকাল ১০.৩০ সময় গিয়ে দেখি সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রদ্ধাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব বাদশা মিয়া চৌধুরীর সাথে দেখা হলো বললেন শুধুমাত্র তোমাকে একটা ভোট দেওয়ার জন্য অসুস্থ শরীর নিয়ে কেন্দ্রে আসলাম। শুনে খুবই খুশী হয়েছিলাম। কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে দেখি আমার এজেন্টদের চোখে-মুখে বিশাল টেনশনের ছাপ,কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হলো। তিনি বললেন এখানে যা হচ্ছে তা গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করার সামিল। একটু পর পর উখিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে খবর আসতে লাগলো ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দলের জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করলাম। অথচ হঠাৎ এক বিশেষ আমলার ঘুর্নীঝড়ে সব এলো মেলা হয়ে গেলো। ১১টার সময় ভোট বর্জনের ঘোষনা দিলাম। সেদিন নলবনিয়া কেন্দ্রে দাড়িয়ে মহান আল্লাহ কে বিচার দিলাম। আমার পেইজ বুকে স্ট্যাটাস দিলাম। আমার উপর জুলুম শুরু হয়েছে।
মহান আল্লাহ যে দুনিয়াতে বিচার করে তার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ গতকাল পেয়ে গেছি।
আলহামদুলিল্লাহ। আমি সাধারণ ঘরেই জন্ম নেয়া এক মানুষ। সেদিন আমার জন্য দলের সিনিয়র নেতারা এগিয়ে না এসে উল্টো আমলা পরিবার থেকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা নেবার জন্য কতই না জ্বী হুজুর জ্বী হুজুর ভাব নিতে দেখেছিলাম। তার জবাব ইতিমধ্যে হলদিয়ার শান্তি প্রিয় জনতার মাধ্যমে পেয়ে গেলাম। এই তো মহান কারিগরের হিসাব নিকাশ। যারা এখনও কথায় কথায় হুংকার আর শপথ করেন
আপনারা হলদিয়া থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। নয়তো আল্লাহর বিচার দুনিয়াতে হয় তার জন্য প্রস্তুত থাকেন। কেউ মনে কস্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সৎভাবে, নমনীয়তা অবলম্বন করে জীবন যাপন করুন। অহংকার, হুংকার পরিহার করুন। আল্লাহকে ভয় করুন। মানুষকে ইজ্জত করার চেস্টা করুন। সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।