গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর জন গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
ফলে সরকারী সেবা প্রদানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
মহেশখালী উপজেলার যেসকল প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব চলমান রয়েছে-
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদ ভারপ্রাপ্ত,
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদ ভারপ্রাপ্ত,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পদ ভারপ্রাপ্ত,উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো পদ ভারপ্রাপ্ত,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পদ ভারপ্রাপ্ত,খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদ ভারপ্রাপ্ত,মহিলা বিষয় কর্মকর্তার পদ ভারপ্রাপ্ত,সদর
হাসপাতালের ইপিআই কর্মকর্তা পদ ভারপ্রাপ্ত,স্টোর-
কিপার পদ ভারপ্রাপ্ত,সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ এ অধ্যক্ষ পদ ভারপ্রাপ্ত,মহেশখালী কলেজ অধ্যক্ষ পদ ভারপ্রাপ্ত,মহেশখালী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ ভারপ্রাপ্ত,মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পদ ভারপ্রাপ্ত,
কুতুবজোম মহিউসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা সুপার পদ ভারপ্রাপ্তসহ আরো অনেক দপ্তর রয়েছে ভারপ্রাপ্ত পদ।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় –
উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান গত নভেম্বর মাসে বদলি জনিত কারণে অন্যত্র চলে যাওয়ায়,ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন,সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
উপজেলার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজের তদারকি করতে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছেন,মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তবে তিনি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি অফিসে সেবা প্রার্থীদের নিয়মিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার প্রথম ধাপের কাজটি করে থাকেন উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো,সেই পদে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব পালন করছেন- মোঃ ফারুক।
সরকারী সেবা প্রার্থীদের দুর্ভোগে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অত্র উপজেলার সাধারণ মানুষকে।
বাংলাদেশ সরকারের একটি জনগুরুপ্তপূর্ন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময়ী উপজেলা মহেশখালী।
এই উপজেলায় এখন সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বের ভারে আক্রান্ত। বছরের পর বছর মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও এই ভারপ্রাপ্ত থেকে উপজেলা প্রশাসনের প্রধান দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ মুক্ত হচ্ছে না ।
ভারপ্রাপ্তর কারণে দাপ্তরিক কাজে নানান জটিলতা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। একই সাথে উন্নয়ন কর্মকান্ডেও চরম ব্যাঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত ক্ষমতার দূর্বলতায় দপ্তরে দপ্তরে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির অফিস ফাঁকি দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।
মহেশখালী উপজেলায় অন্যান্য সরকারের আমলের চেয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়ন প্রকল্পসহ বহুবিধ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে, তা পরিদর্শনে বিভিন্ন সময় সরকারের উচ্চ দপ্তরের মন্ত্রী-সচিব কর্মকর্তাগণ মহেশখালীতে আগমন করেন। তাদের আগমনে প্রটোকলনীয় সময় চলে যায় ভারপ্রাপ্তে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের।
বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্টদের মতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ভারপ্রাপ্ত করে রাখা হয়েছে,বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি বা পক্ষের আনুগত্য পালনকারী ব্যক্তি বিবেচনায়।
যাদের দিয়ে সহজে নিয়ম-অনিয়ম সবকিছু ইচ্ছা মতো প্রতিপালন করা যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয় ও প্রশাসনিক লোকজনের সিন্ডিকেট কোন কর্মকর্তা পদে আসিন হলেও তাকে মহেশখালীর আবাসন, যাতায়াত, সন্তানের পড়ালেখা ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করে ঐপদ থেকে দ্রুত বদলী হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে যেন অন্য পদের লোক ঐ প্রধান পদে বসে ক্ষমতা ও সুবিধা ভোগ করতে পারে।
মহেশখালী উপজেলায় এতগুলি পদ একসাথে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও রাজনৈতিকভাবে কোন শীর্ষ স্থানীয় নেতা বা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পূর্ন পদে কর্মকর্তাদের পদায়ন বিষয়ে ভূমিকা না থাকায় হতাশ মহেশখালীর সাধারণ জনগণ।
মহেশখালীর সচেতন জনগণ অতিদ্রুত ভারপ্রাপ্ত পদে আসিন প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে কর্মকর্তা নিয়োগের জোর দাবী জানান।
মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার
(ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন-
একাই সব দেখা তো সম্ভব নয় তবে উপজেলার জন
গণকেই কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ
বলেন-
শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবগত করা হচ্ছে।
আশা করছি খুব দ্রুতই নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।