গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের
এই প্রথম আদিনাথ মেলার আমন্ত্রণ কার্ড প্রদান
করেছেন- নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল
ইসলাম।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিব চতুর্দশী পূজা উপলক্ষে মহেশখালীর ঐতিহাসিক আদিনাথ মেলা শুরু হচ্ছে আগামীকাল ১লা মার্চ থেকে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ২ টা ৫৫ মিনিটে শুরু হবে শিব চতুর্দশী পুজা এ পুজা অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহা- সিক আদিনাথ মন্দিরে।
পুজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে,মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্দিরে পুজার্থী এবং দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান- মহেশখালী আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি শান্তি লাল নন্দী।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আদিনাথ মেলা উদযাপনের জন্য ১০ দিনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
মহেশখালীর ঐতিহাসিক আদিনাথ মেলা সুন্দর সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে চট্টগ্রাম স্রাইন কমিটির পক্ষ থেকে
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম
কে সভাপতি, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল হাই (পিপিএম)কে মেলা সুপার,
স্রাইন কমিটির সহ-সম্পাদক মাষ্টার ব্রজ গোপাল ঘোষকে সহ-সভাপতি।
আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি শান্তি লাল নন্দীকে সহ-সভাপতি,আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটি- র সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর প্রনব কুমার দে কে প্রধান সমন্বয়কারী।
মন্দির সংস্কার কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার তপন কান্তি দে কে সাধারণ সম্পাদক, আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির অর্থ সম্পাদক যীশু চৌধুরীকে মেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক করে
১৫১ সদস্য বিশিষ্ট মহেশখালীর ঐতিহাসিক আদিনাথ মেলা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ মেলা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন-
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি এই প্রথম আদিনাথ মেলার আমন্ত্রণ কার্ড প্রদান করেছেন বিভিন্ন শ্রেণীর পেশা জীবিদের কাছে।
এটা একজন প্রশাসক হিসেবে নির্বিশেষে সকলের প্রতি আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন, সুচিল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরো বলেন-মহেশখালী ঐতিহাসিক আদিনাথ মেলা এটি সকল সম্প্রদায়ের একটি মিলন মেলা।
একটি উৎসবের মেলা, এ মেলা চলবে ১০ দিন ব্যাপী।
মেলা চলাকালীন মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-পথ ও মহেশখালী -বদরখালী সংযোগ সড়কে পূজার্থী এবং দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন-
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি)মোঃ আবদুল হাই (পিপিএম)।
তিনি আরো জানান-মেলায় পুলিশের কঠোর নজর দারী থাকবে, মেলা চলাকালীন মন্দির এলাকায় পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প থাকবে।
পাশাপাশি নৌপথ ও সড়ক পথে পুলিশের টহল থাকবে নিয়মিত,কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
মেলার সকল প্রস্তুতি বিষয়ে মেলা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি ও স্রাইন কমিটির সহ-সম্পাদক মাষ্টার ব্রজ গোপাল ঘোষ বলেন-
ইতোমধ্যে মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে, দোকানপাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলা চলাকালীন নির-বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার তপন কান্তি দে জানান-বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ২/১টা বছর সঠিক ভাবে মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবছর ১০দিন ব্যাপী চলবে মহেশখালীর ঐতিহাসিক আদি- নাথ মেলা।
মেলা সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিব চতুর্দশী পূজা ও আদিনাথ মেলা চলাকালীন জরুরি মূহুর্তে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে। পয়ঃনিষ্কাশন সহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ থেকে শিব চতুর্দশী পূজা ও আদিনাথ মেলায় কয়েক লক্ষ লোকের সমাগম হতে পারে।
এছাড়াও প্রতি বছরের মতো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,
নেপাল, শ্রীলংকা,ও ভূটান সহ কয়েকটি দেশ থেকে পূজার্থী ও দর্শনার্থী আসবে।
তাদের নিরাপত্তায়ও আন্তরিক থাকবেন বলে জানিছেন মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন।