শেখ মুজিবুর রহমান,মুজিব উখিয়া।
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ(এফআইভিডিবি)।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১১আগস্ট) সকালে ক্যাম্প-১৪ এর ই-২ ব্লকে রোহিঙ্গা নারীর যৌতুক নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব দ্রুত সমাধান করে এ সংস্থার প্রশিক্ষিত মিডিয়েটর্স।
জানা যায়,ক্যাম্প-১৪ এর ই-২ ব্লকের রোহিঙ্গা নারী শওকতারা(১৯) এর সাথে মোয়াজ্জিন আব্দুল হাকিম এর সন্তান আব্দুল্লাহ (প্রবাসীর) সাথে ২০২১ সালে ২ভরি স্বর্ন এবং পুত্রবধূকে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার শর্তে ভার্চুয়ালি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু শওকতারা(১৯)কে মালয়েশিয়া পৌঁছাইতে ব্যর্থ হওয়ায় যৌতুকের অর্থ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বিগত এক বছর যাবত নিজ সমাজের কারো কাছে কোন সমাধান না পেয়ে শওকতারা গত মাসে এফআইভিডিবি’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিডিয়েটরদের দ্বারস্থ হয়। পরে বিষয়টি এফআইভিডিবি’র-এসএইচআরসি প্রকল্পের প্রশিক্ষিত মিডিয়েটররা দ্রুত আমলে নিয়ে উক্ত দিনের মধ্যে দু’পক্ষের সাথে আলাপচারিতা শেষে (১১ আগস্ট) ফাইনাল সমাবেশের আয়োজন করেন। উক্ত সমাবেশে উভয় পক্ষের অভিযোগ শোনা হয় এবং মিডিয়েটরদের কৌশলগত হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পর্যায়ে পৌঁছায়।
রোহিঙ্গা ইমাম নূর মোহাম্মদ রোহিঙ্গা জাতির উদ্দেশ্যে সতর্কতামূলক বাণীতে বলেন “লোভের বশবর্তী হয়ে ধনী পাত্রের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে এর চেয়ে বড় বিপদ আসতে পারে।”
রোহিঙ্গা মাঝি ইদ্রিস পাত্রের পিতা আব্দুল হাকিম কে উদ্দেশ্য করে বলেন “শওকতারার সকল স্বর্ণপাতি ও টাকা পয়সা ফেরত দিতে হবে”
পরে দু’পক্ষই নিজ থেকে সমঝোতায় আসে। এ সময় ক্যাম্প-১৪ এর মাঝি, ইমাম ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন স্তরের রোহিঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।