ডেস্ক রিপোর্ট
ডেঙ্গু রোগ যে এডিস অ্যাজিপ্টাই মশা থেকে ছড়ায় সেটি বাংলাদেশে আগে কখনোই ছিল না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বলেন, ‘এই মশা হয়ত ফ্লাইটে করে আমাদের দেশে এসে বংশ বিস্তার করেছে।’
সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা নিয়ে চলতি বছরের ৫ম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এরপরও আমাদের অস্বস্তি রয়েছে। আমরা আক্রান্তের তুলনাটা কেন দিই? কারণ আমাদের দেশে তো এডিস মশা ছিল না, ডেঙ্গু রোগ ছিল না।’
‘এটা (এডিস মশা) তো বাইরে থেকে আসছে। হয়ত ফ্লাইটে করে প্যাসেঞ্জার আসছিল অথবা দুটি মশা আসছে। দুটি মশা এখানে এসে কোনো না কোনো বাহিত (ডেঙ্গু) ছিল, সে আরও মশা প্রজনন করেছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ৩৬ হাজার ১৩১ জন। মারা গেছেন ১৩৪ জন। এদের মধ্যে চলতি মাস অক্টোবরের ২৯ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৯ জন। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ২ দশমিক ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘অন্য দেশগুলোর তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও আমরা আরও ভালো করতে চেয়েছি। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই।’
‘২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি। ২০২২ সালে পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করছি। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো।’