কক্সবাজার শহর প্রতিনিধি
অনতিবিলম্বে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকসহ দুর্নীতিতে জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলীর দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের স্থানীয় লোকদের পাসপোর্ট করতে আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র(এন আই ডি) স্মার্টকার্ড, পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান কর্তৃক জাতীয়তা সনদ, রোহিঙ্গা নয় মর্মে প্রত্যয়ন ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হয়।
অহেতুক এসব অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে প্রত্যেক ক্ষেত্রে শুধু চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তা নয় অর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া নতুন পাসপোর্ট করতে সেসব ডকুমেন্টস দিতে হয় আবার পাসপোর্ট রিনিউ করতেও একই কাগজপত্র দিতে হয়। ফলে কক্সবাজারের নাগরিকরা ব্যাপক হয়রানির সম্মূখীন হচ্ছে। তাছাড়া পাসপোর্ট হাতে পেতে ইচ্ছেকৃত বিলম্বের কারণে বহু মানুষকে সীমাহীন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
বক্তৃারা আরও বলেন, পাসপোর্ট অফিস গেলেই সাধারণ মানুষকে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, কর্মচারী থেকে শুরু করে আনসার সদস্যদের হাতে নাজেহাল হতে হয়।এসবের কারণে পাসপোর্ট প্রার্থীদের দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে অভিযোগ তুলে বলেন, পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্বরতদের সঙ্গে যোগসাজশে মাঠে রয়েছে বিশাল দালাল সিন্ডিকেট। তাদের খপ্পরে পড়ে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন, এলএ শাখাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি বন্ধের নামে দুদকের চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বহু নিরীহ মানুষকে হয়রানি এবং দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে দুর্নীতিবাজরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করে শরীফ উদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি, কক্সবাজারে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি দুর্নীতি বন্ধ না হয় তাহলে কঠোর লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।