গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
প্রায় ৩২ বছর পর দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় এজহার নামীয় ২৫ জন আসামীর মধ্যে মহেশখালী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম বিএ ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দিনসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে
এক লক্ষ টাকা জরিমানা ১৯ জন বেখসুর খালাস।
০১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের এপিপি সুলতানুল আলম চৌধুরী তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত প্রাপ্তরা হলেন- মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম বিএ,তার ভাই মহেশখালী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, নাছির উদ্দীন,এডভোকেট হামিদুল হক, বৃহত্তর গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও সাধন কুমার দে। সাধন কুমার ছাড়া পাঁচ আসামী রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায় – ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল রমজানর সময় দিনে-দুপুরে গোরকঘাটা চৌরাস্তার মোড়ে পল্লী চিকিৎসক শুরেশ পালের একটি ঔষধের ফার্মেসিতে বসা অবস্থায় খাইরুল আমিন সিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
এরপর মামলা হলে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে তা ২০০২ সালে বিচারের জন্য আদালতে যায়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১০ নভেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেছিলেন আদালত। প্রথমে ২৪ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য্য করেন। পরে তারিখ পরিবর্তন করে ১ডিসেম্বর রায়ের দিন চূড়ান্ত করেন।
এপিপি সুলতানুল আলম চৌধুরী বলেন-
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির অন্যতম নেতা মহেশখালীর খাইরুল আমিনের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম বিএ,তার ভাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, নাছির উদ্দীন, ইব্রাহিম ও সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ ২৬ জন আসামী ছিলেন।
তার মধ্যে গত ১০ নভেম্বর যুক্তি তর্কের শেষে মামলার পাঁচ আসামীর জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।
তবে এই এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামী পক্ষের স্বজনরা। তারা এ নিয়ে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান।