নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক রাশেদুল আলমকে হত্যার হুমকি দিয়েছে সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের উত্তর ডেইল পাড়া এলাকার আমানুল হকের পুত্র ছিনতাইকারীদের গডফাদার গিয়াস উদ্দিন।
রাশেদুল আলম জানান, গত ২ জানুয়ারী সন্ধ্যায় খুরুশকুল অংশের চৌফলদণ্ডী ব্রীজ সংলগ্ন বেড়ীবাঁধের উপর গিয়াসউদ্দিনের ছোট ভাই চিহ্নিত ছিনতাইকারী সাহাব উদ্দিন ও তার দলবল মিলে আমার এক আত্মীয়সহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৪ টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে। আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় ছিনতাইকারী সাহাব উদ্দিনের বসত ভিটায় গিয়ে তার বড়ভাই গিয়াসউদ্দিনকে বিস্তারিত জানালে, গিয়াসউদ্দিন উল্টো আমার উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, গালিগালাজের একপর্যায়ে মারধরের হাঙ্গামা পূর্বক আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এসময় আমি আমার মোবাইলে তার গালিগালাজের ভিডিও ধারণ করতে চাইলে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এমতাবস্থায় আমার মোবাইল ভেংগে যায়।
সাংবাদিক রাশেদুল আলম আরো বলেন, ঘটনায় সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমার উপর আবারো চরম ক্ষিপ্ত হয়। এসময় প্রকাশ্যে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আরিফুল্লাহ নূরী বলেন, কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ছিনতাইকারীদের শেল্টার দিচ্ছে চিহ্নিত গুটিকয়েক রাজনীতিবিদ। এদের মধ্যে অধিকাংশই রোহিঙ্গা। সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক রাশেদুল আলমকে হত্যার হুমকি দাতা চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।