গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের কালালিয়া কাটা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিন দুপুরে সিএনজি চালকের হাতের কব্জি কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-হোয়ানকের কালালিয়াকাটা এলাকার আমির হোসেন প্রকাশ আনু মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম প্রকাশ লইক্যা (৩৮) এর সাথে কালারমারছড়ার চালিয়াতলী বালির ডেইল এলাকার মোস্তাক মিয়ার পুত্র মোকাররমের ভাইয়ের সাথে বহুদিন আগে চট্টগ্রামে থাকাকালীন বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল।
এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার শালিসি বৈঠক হলেও চুড়ান্ত ভাবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় ১০ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় মোকাররম (২৮) মহেশখালী পৌর শহর গোরকঘাটা বাজার হতে সিএনজি গাড়ি চালিয়ে কালারমারছড়া যাওয়ার পথে হোয়ানক কালালিয়াকাটা বাজারে পৌঁছলে তার গাড়ি গতিরোধ করে হোয়ানক কালালিয়াকাটা এলাকার আবদুর রহিম প্রকাশ লইক্যা সহ তার দলীয় লোকজন।
তারা মোকাররমকে সিএনজি গাড়ি থেকে নামিয়ে কালালিয়াকাটা বাজারের পূর্বপাশে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে একটি গাছের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে তার ডান হাতের কব্জি কেটে শরীর থেকে সম্পুর্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
সিএনজি চালকের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)প্রনব চৌধুরীর নির্দেশে থানার এসআই বাপ্পি সর্দার ও এএসআই জসিম উদ্দিন সহ পুলিশের একটি ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং
সিএনজি চালক মোকাররমের শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হাতের কব্জিটি উদ্ধার করেন।
শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হাতের কব্জিটিও দ্রুত চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন।
বর্তমানে সিএনজি চালক মোকাররম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রনব চৌধুরী
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-এই মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে কাজ করছে মহেশখালী থানা পুলিশ। খুবই দ্রুত সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।