গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ’কে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি ইকোট্যুরিজম পার্ক।

এটি হবে পর্যটকবান্ধব করার লক্ষ্যে স্থানটি পরিদর্শন করেছেন.. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

শুক্রবার ৩ ই ফেব্রুয়ারী বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বীপ উপজেলা কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ায়
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসন স্থানটি পরিদর্শন করেন।

এময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোহাম্মদ আলি কদর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান,
মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত এমপি কানিজ ফাতেমা, সাবেক কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট শেখ কামাল, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন’সহ কক্সবাজার জেলা, সদর, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠনের নেতা’কর্মী’সহ স্থানীয় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সোনাদিয়া’কে একমাত্র পর্যটন স্পট এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় বঙ্গোপসাগর ঘেসা মিলনস্থলটিকে আরো দৃষ্টিনন্দন এবং পর্যটকবান্ধব করার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কোন ভূমিকা রাখতে পারে কিনা, সে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে তিনি জেলা প্রশাসন, স্থানীয় এমপি, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী এবং স্থানীয় সুধিসমাজের মতামত নেন।

এসময় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, এই স্থানটিকে ইতিমধ্যেই এখানকার জনগণ পর্যটন স্পট হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। কিন্তু এই স্থানটিকে আরো বেশি পর্যটনবান্ধব করতে পর্যটন কর্পোরেশন এখানে আসতে পারছে না। কারণ, এখানে একটি জমির মালিকানা নিয়ে একটু প্রশ্ন রয়েছে। জমির মূল মালিক। কিন্তু এসে দেখলাম মালিকানা হলেও তাদের এই জায়গায় তাদের উল্লেখযোগ্য স্থাপনাই নেই, বরং জেলা প্রশাসন, এমপি, চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর যত্ন নিচ্ছে। আর আমার কাছে, এখানের লোকদের দৃষ্টিতে এ জায়গায় কোন ভারী স্থাপনাও নির্মাণ করতে পারবে না।

আরো জানান, এখানে পর্যটন ব্যবস্থপনা হবে কি না সে বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবো, তাই আজকে আমি সরেজমিনে স্থানটি পরিদর্শন করতে এসেছি। আমি সরেজমিনে এসে দেখলাম, এটি পর্যটনের সবচেয়ে আকর্শনীয় জায়গা ।
সরকার যা কিছু করে তা জনগণের কল্যাণে করে থাকে। কিন্তু আমরা এই স্থানটিতে পর্যটনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।