সালাহউদ্দীন উখিয়া প্রতিনিধি
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘আমে বান, তেঁতুলে ধান’। অর্থাৎ যে বছর গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণ আমের মুকুল আসে সে বছর ঝড়-তুফান বেশি হয় এবং যে বছর তেঁতুল গাছে খুব বেশি পরিমাণ ফুল আসে সে বছর ধানের ফলন ভালো হয়।
কক্সবাজারের উখিয়ায় সর্বত্রে দেখা যায়। গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের স্বর্ণালী মুকুল। চাষিরা বলছেন এবার মুকুল এসেছে আগাম। এটা ভালো লক্ষণ। চলতি অনুকূল আবহাওয়ায় মুকুল নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। তাই এবারও আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা। জেলায় বিভিন্ন জাতের আম নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানিও করা যাবে বলে তারা মনে করছেন।
গত মৌসুমে আমের বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরেও আম চাষ করছেন তারা। থেমে নেই নতুন করে আমবাগান তৈরির কাজও।
বিভিন্ন এলাকার আমবাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাগানের আম গাছে এবারে আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার কোনো সম্ভাবনা নেই বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এই সময়ে আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকুননাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চলতি আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন আরো ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
বলে জানান। চাষি সুরুত আলম, রফিক উদ্দীন, রুহুল আমিন সহ একাধিক আমচাষি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সব বাগানেই মুকুল দেখা যাচ্ছে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যবহার করছেন তারা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষিরা।