এক স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন দুই স্ত্রী। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাদের।স্বামীও সপ্তাহে তিনদিন করে ছয়দিন সময় দেন দুজনকে। আর একদিন সে বিশ্রাম করেন।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার সীমান্তবর্তী দিল্লির গুরুগাঁও শহরের। সাতদিনের বাকি একদিন স্বামী বিশ্রাম নেন।
গুরুগাঁও শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে পাশপাশি দুই ফ্ল্যাটে মিলেমিশে সময় কাটান তারা। সপ্তাহ হিসেবে স্বামীকে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক ২০১৮ সালে বিয়ে করেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়ারের বাসিন্দা এক তরুণীকে। তিনিই ওই যুবকের প্রথম স্ত্রী। এই দম্পতির একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
করোনা মহামারির সময় স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন ওই যুবক এবং তার কিছুদিনের মধ্যেই কর্মস্থলে এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তিনি ওই সহকর্মীকে বিয়ে করেন এবং ওই ঘরে তার একটি কন্যাসন্তানও জন্মায়। প্রথম স্ত্রীর কাছে এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ গোপন করে গিয়েছিলেন তিনি।
তবে এক সময় প্রথম স্ত্রী ঘটনা জানতে পারেন এবং নিজের ও সন্তানের ভরণপোষণের অর্থ দাবি করে পারিবারিক আদালতে মামলাও করেন। তবে আদালতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এক পর্যায়ে সমঝোতার পথে হাঁটেন তিন জন। তারা সিদ্ধান্তে আসেন— দুই স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করবেন যুবক। উভয়কে সমান সময় দেবেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথমেই এসে পড়েছিল স্বামীর সময় ভাগাভাগির প্রশ্নটি। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে সপ্তাহের ছয় দিনকে দু-ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন তারা, অর্থাৎ যুবকের দুই স্ত্রী তিন দিন করে স্বামীকে কাছে পান। প্রথম তিন দিন বড় বউয়ের জন্য বরাদ্দ, পরের তিন দিন ছোট বউয়ের সঙ্গে সময় কাটান যুবক।
৬ দিন স্ত্রীদের সাথে সময় কাটানোর পর বাকি একদিন বিশ্রাম নেন যুবক। নিজের মতো করে সময় কাটান তিনি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন