এম হাবিবুর রহমান রনি নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বিজিবির পৃথক অভিযানে ১৮,২০৫(আটারো হাজার দুইশ পাঁচ)পিস ইয়াবা ও বাংলাদেশি নগদ ৮০,০০০(আশি হাজার) টাকাসহ একজন আসামী এবং মালিকবিহীন ০২টি ডাম্পার ট্রাক ও ৬,৭৭৩(ছয় হাজার সাতশ তিয়াত্তর) কেজি বার্মিজ সুপারী আটক করা হয়েছে।
সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ আনুমানিক দিবাগত রাত ৩.১৫ ঘটিকায় ব্যাটালিয়ন সদরের একটি টহলদল কম্বনিয়া চেরারকুল নামক স্থান হতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১(এক) জন আসামীসহ ১৮,২০৫ পিস বার্মিজ ইয়াবা এবং বাংলাদেশি নগদ ৮০,০০০টাকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত আসামী হল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কম্বনিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র মো.কামাল হোসেন (২৪)। এছাড়াও ১৬-১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ পৃথক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ বিওপি সমূহের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা হতে সর্বমোট ৬,৭৭৩ কেজি সুপারী, ৯০ প্যাকেট পিনাট চকলেট এবং ০২টি মিনি ডাম্পার ট্রাক আটক করা হয় ল্লেখ্য,জানুয়ারি ২০২৩ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক গবাদী পশু এবং সুপারী নিলামের মাধ্যমে প্রায় ২৬ (ছাব্বিশ) কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করতে সক্ষম হয়েছে ১১বিজিবি।
নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডার লে.কর্নেল রেজাউল করিম বলেন,বিজিবি কর্তৃক সীমান্ত পথে অবৈধভাবে যে কোন চোরাচালানী কার্যক্রম কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং দেশের স্বার্থে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র মাদক ও চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।