গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের দৈলাপাড়া,কালামিয়া বাজারে লবণ তোলার বিরোধের
জেরে প্রতিপক্ষের লোকের হাতে খুন হলো মুহাম্মদ সোহেল (৩০)নামে এক দর্জি দোকানি।
এ ঘটনায় আরও তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের দৈলারপাড়া কালামিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ সোহেল (৩০) কালামিয়া বাজার এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে এবং পেশায় দর্জি দোকানি। আহতরা হলেন, ফোরকান আহমদের পুত্র মুহাম্মদ মকছুদ (৩৫) জালাল মিয়া (৩৩), আলী মিয়া (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- ২০ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে কালামিয়া বাজার এলাকার পিয়ারুর নেতৃত্বে এরশাদ, কালাবাশি, ছিদ্দিক ও আনোয়ারসহ ১০/১৫ জন দেশী অস্ত্র নিয়ে বাজারে আসে।
কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা মুহাম্মদ সোহেল, মকছুদ, জালাল মিয়া ও ফোরকানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।
পরে বাজারে আসা লোকেরা তাদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই আহত মুহাম্মদ সোহেলের মৃত্যু হয়।
নিহত সোহেলের পিতা রাজা মিয়া দৈলারপাড়া কালামিয়া বাজারে ছোট এক দর্জির দোকান করে।
গত ১৯ অক্টোবর ঘটিভাঙ্গা এলাকার জব্বারের কুম নামক স্থানে মজুদকৃত লবণ তোলার বিষয়ে পিয়ারুর সাথে আহত মকছুদের কথা কাটাকাটি হয়। তারই জেরে ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় পিয়ারু কারামিয়া বাজারে এসে তার ছেলে ও ভাইয়ের ছেলেদের কুপিয়েছে।
এই বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান-
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, আহতদের একজন হাসপাতালে মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনায় সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যে এলাকায় রয়েছে।